চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে অবস্থান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সোমবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে এই প্রস্তাব তুলে ধরেছে দলটি। বৈঠকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, সকল রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, এবং নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে আমরা কোনো অনমনীয় অবস্থানে নেই। আমাদের বক্তব্য হলো, আবহাওয়া ও বাস্তবতা বিবেচনায় ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্য সময়ে নির্বাচন হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, আমরা মে ও জুন মাসকে বাদ দিতে বলেছি, কারণ আবহাওয়ার দিক থেকে এই সময়টি নির্বাচন আয়োজনের জন্য অনুকূল নয়। এর বাইরে যে কোনো তারিখ নির্ধারণে আমরা নমনীয় থাকব। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, তার (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) নেতৃত্বেই একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। আমরা সেই আস্থা তার কাছে পুনর্ব্যক্ত করেছি।
তাহের আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টার প্রস্তাবিত সময়সীমা ডিসেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত হলেও, রমজানের বিষয়টি মাথায় রেখে এবং আবহাওয়ার বাস্তবতা বিবেচনায় আমরা বলেছি এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করতে হবে। আমরা তাকে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ চাপিয়ে দিতে চাই না, বরং একটি উপযুক্ত সময় বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা তাকে দিতে চাই।
বিএনপির ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবির প্রসঙ্গে জামায়াত নেতা তাহের বলেন, কোনো একটি নির্দিষ্ট দল যদি নির্ধারিত সময় নিয়েই অনড় থাকে, সেটিকে খুব বাস্তবসম্মত মনে করি না। বরং, রাজনৈতিকভাবে নমনীয়তা দেখানো প্রয়োজন যাতে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ তৈরি হয়।
বৈঠকে নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়েও আলোচনা হয়। জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জুলাইয়ের মধ্যেই সংস্কার প্রক্রিয়া শেষ করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।বিএনপির ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবির প্রসঙ্গে জামায়াত নেতা তাহের বলেন, কোনো একটি নির্দিষ্ট দল যদি নির্ধারিত সময় নিয়েই অনড় থাকে, সেটিকে খুব বাস্তবসম্মত মনে করি না। বরং, রাজনৈতিকভাবে নমনীয়তা দেখানো প্রয়োজন যাতে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ তৈরি হয়।
বৈঠকে নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়েও আলোচনা হয়। জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জুলাইয়ের মধ্যেই সংস্কার প্রক্রিয়া শেষ করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে মতৈক্য তৈরি হয়েছে। কিছু বিষয়ে এখনো কিছুটা মতভিন্নতা রয়েছে। যেসব বিষয়ে এখনো মৌলিক মতপার্থক্য রয়ে গেছে, সেগুলোরও একটা বাস্তবভিত্তিক সমাধানে পৌঁছাতে আলোচনা চলবে। জুলাইয়ের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া শেষ করে একটি ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করা হবে, যেখানে সব দল নীতিগত ঐক্যের ভিত্তিতে স্বাক্ষর করবে।