ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে সতর্ক করে বলেছেন, ‘কথিত সর্বোচ্চ নেতা কোথায় লুকিয়েছেন’ সেটি তার জানা।
কিন্তু খামেনি কে এবং কেন ইসরায়েল তাকে টার্গেট করেছে?
আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি তিন দশকেরও বেশী সময় ধরে ইরানের রাষ্ট্রপ্রধান।
তার পদবী তাকে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের উপরে রেখেছে। মি. পেজেশকিয়ান দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতা।
খামেনি নিজেও কট্টরপন্থী ধর্মীয় নেতাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারাই মূলত ১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
সেটি ছিলো একটি জনপ্রিয় গণঅভ্যুত্থান, যা ইরানে শাহ রাজতন্ত্রকে উৎখাত করেছে। যার নেতৃত্বে ছিলেন রেজা শাহ পাহলভী।
তাকে উৎখাতের পর ইরানে ধর্মীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
এরপর দেশটি দুজন সুপ্রিম লিডার বা সর্বোচ্চ নেতা পেয়েছে। তাদের পদবী হিসেবে আয়াতোল্লাহ ব্যবহার করা হয়, শিয়া ধর্মাবলম্বীদের কাছে যার অর্থ সিনিয়র ধর্মীয় নেতা।
সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে খামেনি এখন দেশটির সামরিক বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফ। এ থেকেই হয়তো কিছুটা বোঝা যায় যে ইসরায়েল তাকে কেনো টার্গেট করেছে।
ইরানের কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থায় দেশটির জনগনের নেতা নির্বাচনে কার্যত কোন এখতিয়ার থাকে না।
এমনকি সামাজিক মাধ্যমে কেউ মি. খামেনির সমালোচনা করলে সেজন্যও তাকে জেলে যেতে হতে পারে।