Close Menu
বিডি নিউজ এক্সপ্রেস
    Facebook X (Twitter) Instagram
    • About Us
    • Contact Us
    • Content Transparency
    • Editorial Policy
    • Fact Checking Policy
    Facebook X (Twitter) Instagram
    বিডি নিউজ এক্সপ্রেসবিডি নিউজ এক্সপ্রেস
    Subscribe
    • Home
    • জাতীয়
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • আলোচিত সংবাদ
    • ক্যাম্পাস
    • খেলা
    • বিনোদন
    বিডি নিউজ এক্সপ্রেস
    Home»আন্তর্জাতিক»চাইলেই কি মার্কিন সব ঘাঁটি জ্বালিয়ে দিতে পারে ইরান?
    আন্তর্জাতিক

    চাইলেই কি মার্কিন সব ঘাঁটি জ্বালিয়ে দিতে পারে ইরান?

    অনলাইন ডেস্কBy অনলাইন ডেস্কApril 9, 2025 7:38 AMNo Comments4 Mins Read
    Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email

    বর্তমানে ইরান শক্তিশালী সামরিক ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। দেশটি শুধু আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ নয়, বরং বিশ্বের বৃহৎ শক্তির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইরানের সামরিক কৌশল, অস্ত্রশস্ত্র ও পরমাণু কর্মসূচি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে। ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন প্রযুক্তি, যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ ব্যবহার করে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোকে হুমকিতে ফেলেছে ইরান। শুধু তাই নয়, ইরান মুসলিম দেশগুলোর ঐক্য গড়ে তুলে একটি শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছে।

    ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রযুক্তি

    ইরান সামরিক উন্নতির জন্য দীর্ঘদিন ধরে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ও ড্রোন প্রযুক্তিতে গুরুত্ব দিয়েছে। ইরানের ‘শাহেদ কামিকাজে’ ড্রোন এবং ‘খোররাম’ ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা অত্যন্ত শক্তিশালী। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর পাল্লা প্রায় চার হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। ইরান এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত সামরিক ঘাঁটিগুলোর বিরুদ্ধে হামলা চালাতে পারে।

    বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের সামরিক কৌশলে তার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রযুক্তির উপস্থিতি আঞ্চলিক নিরাপত্তায় এক বড় পরিবর্তন আনতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন সামরিক ঘাঁটি ‘দিয়েগো গার্সিয়া’, যেখানে অত্যাধুনিক বি-২ বোমারু বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। এটি ভারত মহাসাগরে অবস্থিত, এটি ইরান থেকে প্রায় ৩,৯০০ কিলোমিটার দূরে। তবে ইরানের ড্রোন ও মিসাইল দ্বারা সহজেই নিশানা হতে পারে। ইরান এতে তার সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী ও আধুনিক করছে, যা শুধু আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং বিশ্বের বৃহৎ শক্তির জন্যও বিপদের কারণ হতে পারে।

    আরও পড়ুনঃ  ‘আমি জীবিত, বিজয় খুব কাছেই’

    পরমাণু কর্মসূচি এবং আন্তর্জাতিক চাপ

    ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বহুবার উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ২০১৫ সালে ইরান এবং কয়েকটি শক্তিধর মধ্যে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি হয়, যা ‘জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন’ (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত। তবে ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেওয়ার পর ইরান তার পরমাণু কার্যক্রম পুনরায় ত্বরান্বিত করেছে। ইরান জানিয়ে দিয়েছে, যদি তাদের সাথে নতুন চুক্তি না হয়, তাহলে তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরির পথে এগোবে।

    বিশ্বের অনেক শক্তিশালী দেশ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে একটি বড় হুমকি মনে করছে। তবে ইরান দাবি করছে, তার পরমাণু কর্মসূচি শুধু শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই। যদিও ইরান তার পরমাণু ক্ষমতা অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তবে এটি তার প্রতিরক্ষা কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইরান স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, যদি তাদের বিরুদ্ধে কোনো আক্রমণ হয়, তারা পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করতে দ্বিধা করবে না।

    মার্কিন ও ইরানের সামরিক উত্তেজনা

    বর্তমানে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা খুবই তুঙ্গে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হ্যাগসেথ ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অবস্থান আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে মার্কিন বিমানবাহিনী ভারত মহাসাগরে অত্যাধুনিক বি-২ বোমারু বিমানসহ অন্যান্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। এই বিমানগুলো দিয়েগো গার্সিয়া দ্বীপে পার্ক করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মার্কিন বাহিনী ইরানকে একটি কঠিন সামরিক বার্তা দিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ  ফিলিস্তিন ইস্যুতে আহমাদুল্লাহ ও আজহারীর স্ট্যাটাস, যা লিখলেন

    তবে ইরানও পিছিয়ে নেই। মার্কিন ঘাঁটিগুলোর জন্য ইরান ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রস্তুত রেখেছে। বিশেষ করে ‘শাহেদ কামিকাজে’ ড্রোন ও ‘খোররাম’ ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে মার্কিন ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা সম্ভব। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ইরান প্রতিপক্ষের ওপর আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

    ইরানের কৌশল ও মুসলিম দেশগুলোর ঐক্য

    ইরান সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্যও কাজ করছে। প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং ইয়েমেনের সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাহদি আল-মাসহা সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন, মুসলিম দেশগুলো যদি একত্রিত হয়, তাহলে তাদের ওপর কোনো শত্রু শক্তি হামলা চালাতে পারবে না।

    ইরান মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে এসেছে, বিশেষ করে ইয়েমেনের হুতিদের, সিরিয়ায় আসাদ সরকারকে ও ইরাকের শিয়া গোষ্ঠীগুলোর প্রতি ইরানের সমর্থন অত্যন্ত শক্তিশালী। এর মাধ্যমে ইরান তার আঞ্চলিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে শক্তিশালী এক সামরিক ব্লক গঠন করার চেষ্টা করছে। ইরান যদি মুসলিম বিশ্বের ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়, তাহলে তা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিরোধ হিসেবে কাজ করবে।

    আরও পড়ুনঃ  ভূমিকম্পে ভবন ধস, আটকা ৪৩ শ্রমিক

    ইরানের যুদ্ধ প্রস্তুতি ও মার্কিন ঘাঁটি

    ইরান সামরিক প্রস্তুতি এবং সক্ষমতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিকোণ নিয়ে এগোচ্ছে। মার্কিন বাহিনী এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে একাধিক সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে। কাতার, বাহরাইন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইরাকের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিগুলো ইরানের লক্ষ্য হয়ে উঠতে পারে। এ ঘাঁটিগুলোর মধ্যে কাতারের ‘আল উদেইদ’ এয়ারবেস, বাহরাইনের সামরিক ঘাঁটি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘আল দাফরা’ বিমান ঘাঁটি উল্লেখযোগ্য।

    ইরান জানিয়েছে, তাদের অত্যাধুনিক মিসাইল প্রযুক্তি রয়েছে যা এই ঘাঁটিগুলোকে সহজেই নিশানা করতে পারে। ‘শাহেদ কামিকাজে’ ড্রোন এবং ‘খোররাম’ ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে এই মার্কিন ঘাঁটিগুলো গুঁড়িয়ে দেয়া সম্ভব। এ ছাড়া ইরান তার যুদ্ধজাহাজগুলো ব্যবহার করে এই অঞ্চলের সামরিক স্থাপনা ও ঘাঁটিগুলোর ওপর আক্রমণ চালানোর জন্য প্রস্তুত।

    ভবিষ্যৎ দৃষ্টিকোণ

    বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর মধ্যে ইরান নিয়ে আলোচনা এখন একেবারে শীর্ষে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও অন্যান্য দেশ ইরানের সামরিক শক্তি ও পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। ইরান এখন কূটনৈতিকভাবে মুসলিম বিশ্বের ঐক্য ও আন্তর্জাতিক সমর্থন—দুটোকেই শক্তিশালী করার পথ অনুসরণ করছে। এর মাধ্যমে, ইরান নিজের আঞ্চলিক প্রতিপক্ষের সাথে একদিকে সামরিক শক্তির প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মহলে তার অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে।

    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email
    Previous Articleট্রাম্পের সঙ্গে লড়াইয়ের ঘোষণা চীনের
    Next Article ভয়াবহ দুর্ঘটনা নাইট ক্লাবের ছাদ ধসে ৬৬ জন নিহত
    অনলাইন ডেস্ক

      Related Posts

      নেতানিয়াহুর আশায় পানি ঢাললেন ট্রাম্প,

      June 20, 2025 6:23 PM

      ‘আমি জীবিত, বিজয় খুব কাছেই’

      June 20, 2025 6:03 PM

      অবশেষে জানা গেল কোন দিকে একাধিক মিসাইল ছুড়ল উত্তর কোরিয়া

      June 20, 2025 5:55 PM
      Add A Comment
      Leave A Reply Cancel Reply

      Latest News

      Govt to form information commission soon: Info ministry – Bd24live

      July 26, 2025 12:46 PM

      How to Save Money While Exploring Vietnam on a Budget – Bd24live

      July 25, 2025 2:51 AM

      CA orders making list of those killed in AL terror attacks in 15 yrs before July uprising – Bd24live

      July 25, 2025 12:50 AM

      Govt approves proposal for CrPC amendment – Bd24live

      July 24, 2025 10:50 PM
      Facebook X (Twitter) LinkedIn WhatsApp Telegram
      © 2025 BD News Express

      Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.