Close Menu
বিডি নিউজ এক্সপ্রেস
    Facebook X (Twitter) Instagram
    • About Us
    • Contact Us
    • Content Transparency
    • Editorial Policy
    • Fact Checking Policy
    Facebook X (Twitter) Instagram
    বিডি নিউজ এক্সপ্রেসবিডি নিউজ এক্সপ্রেস
    Subscribe
    • Home
    • জাতীয়
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • আলোচিত সংবাদ
    • ক্যাম্পাস
    • খেলা
    • বিনোদন
    বিডি নিউজ এক্সপ্রেস
    Home»জাতীয়»আব্বু, আমি তো বাঁচব না, লাশটা নিয়ে যাইয়ো
    জাতীয়

    আব্বু, আমি তো বাঁচব না, লাশটা নিয়ে যাইয়ো

    অনলাইন ডেস্কBy অনলাইন ডেস্কFebruary 25, 2025 5:53 PMNo Comments3 Mins Read
    Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email

    দীর্ঘ ৩৬ দিন ধরে চলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালান ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে তার পালিয়ে যাওয়ার পরও বিজয় মিছিলে বিভিন্ন স্থানে অরাজকতা চলতে থাকে। আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের গুলি ও অজ্ঞাত গুলিতে শহীদ হয় বহু মানুষ।

    এমন এক শহীদের কথা লিখেছেন ফরিদ উদ্দিন রনি যা নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে শেয়ার দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব ড. শফিকুল আলম।

    জুলাই উত্তাল সময়ে নাফিসা হোসেন মারওয়া নামে এক সাহসী শিক্ষার্থী রাজপথে নেতৃত্ব দেন। টঙ্গীর একটি ছোট ভাড়া বাসায় বাবা চা বিক্রেতার সঙ্গে থাকতেন তিনি। তার মা কাজের জন্য কুয়েতে, আর একমাত্র ছোটবোন থাকত সাভারে নানুর বাসায়।

    আন্দোলনের প্রথমদিকে নাফিসা ও তার বন্ধুরা মেসেঞ্জারে একটি গ্রুপ তৈরি করে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে প্রতিদিন রাস্তায় নামত। বাবা সকালবেলা দোকানে চলে যাওয়ায় তিনি সহজেই আন্দোলনে যেতে পারতেন। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে মেয়ের আন্দোলনে যাওয়ার খবর শুনে বাবা তাকে বকাঝকা করেন।

    আরও পড়ুনঃ  সাগরে জাগছে নতুন নতুন দ্বীপ, বাড়ছে বাংলাদেশের আয়তন

    ২৮ জুলাই নাফিসা বাবাকে বলেন, পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তাই তিনি মামার বাসায় যাবেন। বাবা অনুমতি দেন, আশায় ছিলেন মামারা হয়তো তাকে ঘর থেকে বের হতে দেবে না। প্রথমে তিনি ধামরাইয়ের বড় মামার বাসায় যান, পরে ৩০ জুলাই সাভারের ছোট মামার বাসায় ওঠেন। কিন্তু সেখান থেকেও প্রতিদিন আন্দোলনে অংশ নিতেন।

    ৩ আগস্ট বিকালে আন্দোলনের এক মুহূর্তের ছবি বাবাকে পাঠান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বাবা কল দিয়ে বকাঝকা করেন। এরপর ৫ আগস্ট সকালে বের হওয়ার সময় মামারা বাধা দিলেও নাফিসা চোখ ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে যান এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে লং-মার্চে যোগ দেন।

    দুপুরে বাবাকে কল দিয়ে জানান, ‘আব্বু, হাসিনা পলাইছে।’ উত্তরে বাবা বলেন, ‘হাসিনা পলাইছে, তোর বাপের কী! তোর কিছু হলে কে দেখবে?’ নাফিসা আশ্বস্ত করেন, ‘আর কিছু হবে না, আব্বু। বড় ভাইয়া-আপুদের সঙ্গে আছি।’

    কথা বলার কিছুক্ষণের মধ্যেই সাভার মডেল মসজিদের কাছে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের যৌথ হামলা শুরু হয়। পুলিশ সরাসরি গুলি চালায়, আর মিছিলের সামনের সারিতে থাকায় নাফিসা গুলিবিদ্ধ হন। তাকে দ্রুত ল্যাবজোন হাসপাতালে নেওয়া হয়।

    আরও পড়ুনঃ  যে ৫ স্থান থেকে শুরু হবে মার্চ ফর গাজা

    বাবা বাসায় ফেরার খবর জানতে কল দেন, কিন্তু কেউ রিসিভ করে না। কিছুক্ষণ পর একজন অচেনা কণ্ঠ থেকে ফোন আসে, ‘আপনি ওর কী হন?’

    সংবাদ শুনেই দিশেহারা বাবা। কিছুক্ষণ আগেও মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন, এখন কী হলো! তড়িঘড়ি করে দোকান বন্ধ করে সাভারের উদ্দেশে রওনা দেন, কিন্তু গাড়ি না পেয়ে ভেঙে ভেঙে রিকশায় যান। মামাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে কুয়েতে থাকা স্ত্রীকে কল দেন, তাদের দ্রুত হাসপাতালে যেতে বলেন।

    এদিকে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ল্যাবজোন হাসপাতালেই মারা যান নাফিসা। মামারা এনাম মেডিকেলে নিয়ে গেলেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। লাশ নিয়ে ফেরার পথে মুক্তির মোড়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলায় মামারা আহত হন।

    রাতে সাভারে প্রথম জানাজা শেষে লাশ নেওয়া হয় টঙ্গীতে বাবার এলাকায়। কোনো অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে ৪ গুণ বেশি ভাড়ায় পিকআপে লাশ বহন করতে হয়। এরপর এরশাদনগরে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয় নাফিসাকে।

    আরও পড়ুনঃ  প্রধান উপদেষ্টার নতুন বিশেষ সহকারী কে এই আনিসুজ্জামান চৌধুরী

    এইচএসসির ফল প্রকাশের মাত্র এক সপ্তাহ আগে শহীদ হন নাফিসা। পরীক্ষায় তিনি জিপিএ ৪.২৫ পেয়েছেন। মেয়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন বাবা। কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন, ‘আমি দোকানে বসি, কিন্তু মন পড়ে থাকে মেয়ের কথায়। মেয়ে পাশ করায় আমার কষ্ট আরও বেড়েছে। সে নিজের রেজাল্ট দেখতে পারল না। আমার মেয়ের সাথে শেষ কথা ছিল—‘আব্বু, আমি তো বাঁচব না, লাশটা নিয়ে যাইয়ো।’

    পরিবারের শত বাঁধা উপেক্ষা করেও প্রয়োজনের তাগিদে নাফিসারা বীরের বেশে রাস্তায় আসেন, লাশ হয়ে ফেরেন ঘরে। সফলতার আড়ালে থেকে যায় তাদের সাহসীকতার গল্প। জুলাই গণআন্দোলনে এমন হাজারও নাফিসা ছিল, যারা রাস্তায় আসতে হয়েছিল ঘরে বাবা-মায়ের সাথে যুদ্ধ করে। আবার রাস্তায় এসেও করেছেন আওয়ামী হায়েনা ও পুলিশলীগের সাথে যুদ্ধ।

    এই সাহসী যোদ্ধা শহীদ নাফিসাকে আমরা আজীবন স্মরণে রাখতে পারব, তো?

    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email
    Previous Articleবাংলাদেশের জন্য বড় সুখবর দিলো চীন! এবার কী করবে ভারত
    Next Article প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর
    অনলাইন ডেস্ক

      Related Posts

      ভারত-তাজউদ্দীনের গোপন সেই ৭ দফা চুক্তিতে আসলে কী ছিল?

      April 12, 2025 9:33 AM

      শঙ্কা’র পরেই ফের ভূমিকম্প, ৪ জেলা উচ্চ ঝুঁকিতে

      April 12, 2025 9:17 AM

      সকল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর ঢাকায় আগমন ঠেকানোর নির্দেশ পুলিশের

      April 12, 2025 8:12 AM
      Add A Comment
      Leave A Reply Cancel Reply

      Latest News

      Govt to form information commission soon: Info ministry – Bd24live

      July 26, 2025 12:46 PM

      How to Save Money While Exploring Vietnam on a Budget – Bd24live

      July 25, 2025 2:51 AM

      CA orders making list of those killed in AL terror attacks in 15 yrs before July uprising – Bd24live

      July 25, 2025 12:50 AM

      Govt approves proposal for CrPC amendment – Bd24live

      July 24, 2025 10:50 PM
      Facebook X (Twitter) LinkedIn WhatsApp Telegram
      © 2025 BD News Express

      Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.